ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া সাফারী পার্কে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে স্বামী-স্ত্রী আহত

ডুলাহাজারা প্রতিনিধি, চকরিয়া  : কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে দিনদুপুরে চিনতাইয়ে ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সশস্ত্র ছিনতাইকারী দল পার্ক ভ্রমনে যাওয়া স্বামী-স্ত্রী দম্পতিকে ছুরিকাহত করে নগদ ১২ হাজার টাকা ও ২ টি দামী মোবাইল সেট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আজ ৩ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় পার্কের অভ্যন্তরে জলহস্তীর বেষ্টনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর আহত স্বামী ও স্ত্রী কে বর্তমানে মালুমঘাট খ্রীষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে স্বামী মো:বেলাল উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক ভ্রমনে আসেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ইদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনা এলাকার স্বামী-স্ত্রী দম্পতি। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা পার্কের অভ্যন্তরে জলহস্তীর বেষ্টনী এলাকায় গেলে ৪/৫ জনের সশস্ত্র ছিনতাইকারীদল পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে বের হয়ে প্রথমে তাদের গতি রোধ করে পরে স্বামী কে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং স্ত্রীকে ও ছুরিকাহত করে  তাদের কাছ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা ও ২ টি দামী ছিনিয়ে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর গা ঢাকা দেয়। পরে পার্কের দর্শনার্থীরা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মালুমঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
চকরিয়া পৌরসভার ২ নং ওর্য়াডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী নাজেম উদ্দিন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন তার বড় ভায়েরার মেয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার ইদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনা এলাকার বাসিন্দা সাইমা আক্তার(৩৩) ও তার স্বামী বেলাল উদ্দিন (৪২) শুক্রবার দুপুরে সাফারী পার্ক ভ্রমনে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয়। বেলাল উদ্দিনের গলায় ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। নগদ ১২ হাজার টাকা ও ২ টি দামী মোবাইল নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা আশংকা জনক অবস্থায় মালুমঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যপারে সাফারী পার্কের ফরেষ্টার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে ফোনে বারবার যোগাযোগ করে ও তাকে পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি অবগত হয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে পার্ক দেখতে আসা দর্শনার্থীদের অভিযোগ বর্তমানে সাফারী পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। দর্শনার্থীদের কোন নিরাপত্তা নেই। প্রতিনিয়ত চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে।

পাঠকের মতামত: